দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলার সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন, যেটি চলবে তিনদিন পর্যন্ত। দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানকে নিজের বলে দাবি করে আসছে চীন। এই মহড়া তাইওয়ানের জন্য ‘কঠোর সতর্কতা’ বলে জানিয়ে দিয়েছে বেইজিং।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ​​ইং-ওয়েনের বৈঠক নিয়ে বেইজিংয়ের ক্ষোভের মধ্যেই এই মহড়া শুরু হলো। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৪২টি চীনা সামরিক বিমান এবং আটটি জাহাজ তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। তবে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, সামরিক মহড়ার সময় তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে যুগপৎ টহল এবং অগ্রাভিযান চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে তাইওয়ানকে একদম ঘিরে ফেলার মাধ্যমে একটি ‘প্রতিরোধমূলক অবস্থান’ নেয়া হচ্ছে। সামরিক মহড়ায় দূর-পাল্লার রকেট, নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার, ক্ষেপণাস্ত্র-বাহী জাহাজ, বিমান বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ, বোমারু বিমান সহ অনেক অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) পূর্ব থিয়েটার কমান্ড শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, তাইওয়ান ঘিরে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের ‘যুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক মহড়া’ চলবে। ‘ইউনাইটেড শার্প সোর্ড’ নামের এ মহড়া উত্তর ও দক্ষিণে তাইওয়ান প্রণালী, পূর্বে সাগর এবং আকাশপথে চলছে।

পিএলএ জানায়, এই মহড়া তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি, বহিরাগত শক্তির যোগসাজশ ও উসকানির বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা। জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এটি। তাইওয়ানের চারপাশ ঘিরে চীন মাঝে-মধ্যেই মহড়া দেয়। কিন্তু এবার দ্বীপটি ঘিরে চীন যে মহড়া শুরু করেছে সেটিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই যে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে দেখা করে এসেছেন, তার পাল্টা ব্যবস্থা বলে মনে করা হচ্ছে।

রাকিব/এখন সময়